Type Here to Get Search Results !

Indian History in Bengali Short Question for WBCS , WB SI , WBP

Indian History in Bengali Short Question for WBCS , WB SI , WBP  



   প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান 


এই ছোট প্রশ্ন গুলো রাজ্যের সমস্ত রকম চাকরির পরীক্ষায় আসে , সবার সুবিধার জন্য দিলাম ,কারো সাহায্যে লাগতে পারে , কোথাও ভুল থাকলে নিচে কমেন্ট করে জানাবেন , নিজের বন্ধুদের মধ্যে share করতে ভুলবেনা । 






প্রঃ কোন বৈদেশিক লেখ থেকে আর্য নামের রাজাদের উল্লেখ পাওয়া যায়?
উঃ এশিয়া মাইনরের আনাতােলিয়ায় প্রাপ্ত বােঘাজকোয় লেখ থেকে (আনুমানিক
১৪০০ খ্রিস্টপূর্বে উৎকীর্ণ) ইন্দ্র, বরুণ, মিত্র প্রমুখ আর্য নামের রাজাদের উল্লেখ
পাওয়া যায়।

প্রঃ কোন দুই পারসিক লেখ ভারত ইতিহাসের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ পারসিপলিস ও নকস-ই-রুস্তম নামক পারসিক লেখ দুইটি ভারতের ইতিহাসের
পক্ষে উল্লেখযােগ্য উপাদান। এই দুই লেখ থেকে জানা যায় হিন্দু অঞ্চল অর্থাৎ
সিন্ধু উপত্যকা (বর্তমান পশ্চিম পাঞ্জাব) অঞ্চল পারসিক সম্রাট ডারায়াসের বা
দরায়ুসের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল।


প্রঃ প্রথম কোন লেখতে ‘হিন্দু' শব্দের ব্যবহার হয়েছিল?
উঃ প্রথম দরায়ুসের পারসিপলিস লেখতে 'হিন্দু' শব্দের প্রাচীন রূপ ‘হিদু’ শব্দ
ব্যবহৃত হয়েছিল।


প্রঃ পাঠোদ্ধার করা ভারতের প্রাচীনতম লিপি কী ?
উঃ পাঠোদ্বারা করা ভারতের প্রাচীনতম লিপি ব্রাহ্মী, যা অশােকের লেখণ্ডলিতে
ব্যবহৃত হয়েছিল।


প্রঃ অশােকের লেখ প্রথম কে এবং কত খ্রিস্টাব্দে পাঠোদ্ধার করেন?
উ ভারততত্ত্ববিদ জেমস প্রিনসেপ ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে প্রথম ব্রাহ্মী লিপিতে রচিত
একটি অশােকের লেখ পাঠোদ্ধার করেন।



প্রঃ অশােকের লেখতে কোন কোন ভাষা ও লিপি ব্যবহৃত হয়েছে?
উঃ বেশিরভাগ অশােকের লেখতে ব্রাহ্মী লিপি ও প্রাকৃত ভাষা ব্যবহৃত হয়েছে।
প্রাকৃত ভাষার মধ্যে ছিল মাগধী প্রাকৃত ও সংস্কৃত ও ইরানীয় ভাষা প্রভাবিত
প্রাকৃত। আর উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের পেশােয়ার অঞ্চলে খরােষ্টী লিপি এবং
কান্দাহার অঞ্চলে গ্রিক ও অ্যারামাইক ভাষা ও লিপি ব্যবহৃত হয়েছিল।



প্রঃ অশােক তার লেখতে নিজেকে কীভাবে উল্লেখ করেছেন?
উঃ অশােক তার লেখতে নিজেকে ‘দেবনামপিয় পিয়দসি' বা 'দেবতার প্রিয় প্রিয়দর্শী
হিসাবে উল্লেখ করেছেন।



প্রঃ অশােকের গুহালেখ কোথায় উৎকীর্ণ আছে?

উঃ অশােকের গুহালেখ উৎকীর্ণ আছে বর্তমান বিহারের গয়া জেলার বারাবার
পাহাড়ের তিনটি গুহাতে।




প্রঃ মাসকির ক্ষুদ্র গিরিশাসন কেন গুরুত্বপূর্ণ?

উঃ মাকির ক্ষুদ্র গিরিশাসন থেকেই প্রথম জানা যায় যে (১৯৫৫ খ্রিস্টাব্দে পঠিত)
দেবপ্রিয় প্রিয়দর্শী ও অশােক একই ব্যক্তি।


প্রঃ অশােকের কোন কোন লেখতে গ্রিক রাজাদের নামের উল্লেখ আছে?

উঃ গিরনারে প্রাপ্ত দ্বিতীয় মুখ্য গিরিশাসনে যবনরাজ আন্তিয়ােক বা এ্যান্টিওকাসের
উল্লেখ আছে। অন্যদিকে শাহবাজগঢ়ীতে প্রাপ্ত ত্রয়ােদশ মুখ্য গিরিশাসনে
আন্তিয়ােক ছাড়া আরাে চারজন গ্রিক রাজার নামের উল্লেখ আছে- অন্তকিনি
(অ্যান্টিগােনাস গােনাটাস), মকা (মগা), তুরমায় (টলেমি দ্বিতীয় ফিলাডেলকাস)
ও অলিকসুন্দর (আলেকজান্ডার)।

প্রঃ তখত-ই-বাহি লৈখতে কার বিজয় কাহিনি লিপিবদ্ধ আছে?

উঃ তখত-ই-বাহি লেখতে পহুব রাজা গন্ডােফার্নিসের বিজয় কাহিনি লিপিবদ্ধ
আছে।

প্রঃ জুনাগড় লেখ কোন শাসকের প্রশস্তি লেখ ? এই লেখ কখন ও কোন ভাষায়
উৎকীর্ণ হয় ?

উঃ জুনাগড় বা গিরনার লেখ কাদমক মহাক্ষত্ৰপ রুদ্রদামা বা রুদ্রদামনের প্রশস্তি
লেখ।
জুনাগড় লেখ ১৫০ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত গদ্যে উৎকীর্ণ হয়।


প্রঃ ভারতের প্রথম সংস্কৃত ভাষায় লেখা শিলালেখ কোনটি?
উঃ ভারতের প্রথম সংস্কৃত ভাষায় লেখা শিলালেখ জুনাগড় শিলালেখ।


প্রঃ হাতিগুম্ফা লেখতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে?
উঃ হাতিগুম্ফা লেখতে কলিঙ্গরাজ খারবেলের কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে।


প্রঃ আন্ধাউ লেখ থেকে কোন রাজা সম্পর্কে জানা যায়?

উঃ আনুমানিক ১৩০ খ্রিস্টাব্দে খােদিত আন্ধাউ লেখ থেকে কার্দৰ্মক শাখার
শকক্ষপ ঢষ্টন সম্পর্কে জানা যায়।


প্রঃ নানাঘাট লেখ থেকে কোন রাজার রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়? এই
শিলালেখ কে উৎকীর্ণ করান?


উঃ নানাঘাট লেখ থেকে সাতবাহনরাজ প্রথম সাতকণির রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা
যায়।
এই শিলালেখ উৎকীর্ণ করান প্রথম সাতকণির বিধবা স্ত্রী নয়নিকা বা নাগনিকা।


প্রঃ নাসিক প্রশস্তিতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে? এই প্রশস্তি কার দ্বারা
উৎকীর্ণ হয়েছিল?


উঃ নাসিক প্রশস্তিতে বর্ণিত হয়েছে সাতবাহন বংশের শ্রেষ্ঠ নৃপতি গৌতমীপুত্র
শ্রীসাতকণির কৃতিত্ব।


প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান
গৌতমীপুত্র সাতকণির মৃত্যুর প্রায় উনিশ বছর পর বাশিষ্ঠীপুত্র পুলমায়ির
রাজত্বকালে তার মা গৌতমী বলশ্রী কর্তৃক নাসিক প্রশস্তি উৎকীর্ণ হয়েছিল?
প্রঃ এলাহাবাদ প্রশস্তিতে কোন রাজার কীর্তি বর্ণিত আছে? এই প্রশস্তির লেখক
উঃ এলাহাবাদ প্রশস্তিতে সমুদ্রগুপ্তের কীর্তি বর্ণিত আছে।
চল্ কাব্যের আদর্শে গদ্য ও পদ্যে সংস্কৃত ভাষায় রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তির
লেখক সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হিসাবে খ্যাত হরিষেণ।
প্রঃ কোন লেখ থেকে প্রথম বুধগুপ্ত রাজার নাম জানা যায়?
উঃ এরাণে প্রাপ্ত শিলালেখ থেকে প্রথম বুধগুপ্ত রাজার নাম জানা যায়।
প্রঃ মেহরেলী লেখতে কোন রাজার কথা উল্লেখ করা হয়েছে?
উঃ দিল্লির নিকটবর্তী মেহরেলী নামক স্থানে প্রাপ্ত স্তম্ভলেখতে জনৈক চন্দ্র রাজার
উল্লেখ করা হয়েছে। ঐতিহাসিকদের ধারণা এই চন্দ্ররাজা গুপ্ত সম্রাট দ্বিতীয়
'
চন্দ্রগুপ্ত।
প্রঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সন্ধিবিগ্রহিক ও সেনাপতি কোন কোন লেখ উৎকীর্ণ
করিয়েছিলেন ?
উঃ দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সন্ধিবিগ্রহিক বীরসেন উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন উদয়গিরি
গুহালেখ।
দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের সেনাপতি আম্রকা ৪১২-১৩ খ্রিস্টাব্দে সাঁচী লেখ উৎকীর্ণ
করিয়েছিলেন।
প্রঃ দামােদরপুর লেখ কোন গুপ্ত সম্রাট সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে ?
উঃ দামােদরপুর লেখ গুপ্ত সম্রাট প্রথম কুমারগুপ্ত সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
প্রঃ ভিটারী লেখ কে উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন?
উঃ ভিটারী লেখ উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন স্কন্দগুপ্ত।
প্রঃ গুনাইঘর তাম্রলেখ কোন শাসকের সময়ে উৰ্ত্তীর্ণ হয়েছিল?
উঃ গুনাইঘর তাম্ৰলেখ উৎকীর্ণ হয়েছিল ৫০৮ খ্রিস্টাব্দে। সম্ভবত তখন এই
অঞ্চলের শাসক ছিলেন বৈন্যগুপ্ত।
প্রঃ কোন লেখ থেকে হুণ শাসক তােরমান সম্পর্কে জানা যায়? এই লেখ কে
উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন?
উঃ হ্ণ শাসক তােরমান সম্পর্কে জানা যায় এরান লেখ থেকে।
এই লেখটি উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন তার স্থানীয় প্রশাসক ধন্যবিষ্ণু (৫১১


ইতিহাস চরান
প্রঃ কোন দুই লেখ থেকে পরবর্তী গুপ্তদের সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় ?
উঃ আফসাদ শিলালেখ ও দেও-রণার্ক শিলালেখ থেকে পরবর্তী গুপ্তরাজাদের
সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
প্রঃ মান্দামাের লেখ (প্রশস্তি) কোন শাসক উৎকীর্ণ করিয়েছিলেন? এই লেখ কে
রচনা করেন?
উঃ মান্দাসের লেখ উৎকীর্ণ (৫৩৩ খ্রিস্টাব্দ) করিয়েছিলেন মালবরাজ যশােধর্মন।
সংস্কৃত ভাষায় এই লেখ রচনা করেন কৰি বসভটি।
প্রঃ আইহােল প্রশস্তি কে রচনা করেন? এই প্রশস্তিতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত
হয়েছে? এই প্রশস্তি কোন ভাষায় রচিত?
উ জৈন কবি রবিকীর্তি আনুমানিক ৬৩৪ খ্রিস্টাব্দে আইহােল প্রশস্তি রচনা করেন।
এই প্রশস্তিতে বাতাপির চালুক্যরাজ দ্বিতীয় পুলকেশীর কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে।
এই প্রশক্তি সংস্কৃত ভাষায় রচিত।
প্রঃ গােয়ালিয়র প্রশস্তিতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে?
উঃ গােয়ালিয়র প্রশস্তিতে প্রতিহার বংশীয় রাজা ভােজ-এর কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে।
প্রঃ মেদিনীপুর লেখ থেকে বাংলার কোন শাসক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়?
উঃ মেদিনীপুর লেখ থেকে বাংলার শাসক শশাঙ্ক সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায়।
প্রঃ খালিমপুর তাম্রশাসন কোন শাসকের রাজত্বকালে উৎকীর্ণ হয়েছিল ?
উঃ খালিমপুর তাম্রশাসন উৎকীর্ণ হয়েছিল ধর্মপালের রাজত্বকালে।
প্রঃ বাদল প্রশস্তিতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে?
উঃ বাদল প্রশস্তিতে দেবপালের কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে।
প্রঃ বানগড় তাম্রশাসন ও ইমাদপুর লেখ থেকে কোন রাজা সম্পর্কে জানা যায় ?
উঃ এই দুই লেখ থেকে প্রথম মহীপাল সম্পর্কে জানা যায়।
প্রঃ দেওপাড়া প্রশস্তিতে কোন রাজার কৃতিত্ব বর্ণিত হয়েছে?
উঃ উমাপতি ধর রচিত দেওপাড়া প্রশস্তিতে বাংলার রাজা বিজয়সেনের কৃতিত্ব
বর্ণিত হয়েছে।
প্রঃ তাঞ্জোর লিপি থেকে কোন রাজার সম্পর্কে জানা যায় ?
উ তাঞ্জোর লিপি থেকে চোল রাজা প্রথম রাজরাজ সম্পর্কে জানা যায়।
প্রঃ কোন দুই লেখ থেকে রাজেন্দ্র চোলের সামরিক কৃতিত্ব সম্পর্কে জানা যায় ?
উঃ তিরুবালাঙ্গারু পটু ও তিরুমলয় লেখ থেকে রাজেন্দ্র চোলের সামরিক কৃতিত্ব
সম্পর্কে জানা যায়। প্রথম লেখ থেকে দক্ষিণ ভারতের এবং দ্বিতীয় দেখ থেকে
উত্তর ভারত ও বাংলাদেশে রাজেন্দ্র চোলের সামরিক কৃতিত্ব সম্পর্কে তথা
পাওয়া যায়।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান
প্রঃ সঞ্জান অনুশাসন থেকে কোন রাজার রাজত্বকাল সম্পর্কে জানা যায়?
উ সঞ্জন অনুশাসন (তাম্রশাসন) থেকে রাষ্ট্রকূটরাজ অমােঘবর্ষের রাজত্বকাল
সম্পর্কে জানা যায়।
প্রঃ শুশুনিয়া লেখ কেন গুরুত্বপূর্ণ?
জ্ঞ পশ্চিমবঙ্গের শুশুনিয়া পাহাড়ে প্রাপ্ত লেখ থেকে ‘চন্দ্রবর্মন’ নামক এক শাসকের
নাম জানা যায়। তার রাজধানী ছিল পুষ্করণা। বাংলাদেশের প্রমাণসিদ্ধ ইতিহাসে
চন্দ্রবর্মা প্রথম স্বাধীন রাজা।
প্রঃ কোন দুই লেখ গুপ্ত যুগের গিল্ড ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে ?
উঃ গুপ্ত যুগের গিল্ড ব্যবস্থা সম্পর্কে তথ্য পাওয়া যায় স্কন্দগুপ্তের ইন্দোর লেখ এবং
প্রথম কুমারগুপ্ত ও বন্ধুবৰ্মনের (বা বন্ধুবৰ্মা) মান্দাসের লেখ থেকে।
প্রঃ প্রাচীন ভারতের লেখমালায় ব্যবহৃত দুইটি প্রধান লিপির নাম করাে।
উঃ প্রাচীন ভারতের লেখমালায় ব্যবহৃত দুইটি প্রধান লিপি ব্রাহ্মী ও খরােষ্টি।
প্রঃ ভারতের প্রাচীনতম মুদ্রাগুলিকে কী মুদ্রা বলা হয় ?
উঃ ভারতের প্রাচীনতম মুদ্রাগুলিকে বলা হয় অঙ্কচিহ্নিত মুদ্রা।
প্রঃ ভারতের কোন শাসকরা প্রথম মুদ্রাতে রাজার নাম উত্তীর্ণ করেছিল ?
উঃ ব্যাকট্রিয় গ্রিক শাসকেরা ভারতে প্রথম মুদ্রাতে রাজার নাম উৎকীর্ণ করেছিল।
প্রঃ কোন গ্রিক রাজা প্রথম তার মুদ্রায় ভারতীয় ভাষায় নিজ নাম উৎকীর্ণ করান?
উঃ ব্যাকট্রিয় গ্রিক রাজা দিমিত্রয় বা ডেমিট্রায়স প্রথম নিজ মুদ্রায় ভারতীয় ভাষায়
নিজ নাম উৎকীর্ণ করান।
প্রঃ কোন রাজা প্রথম মুদ্রায় বুদ্ধদেবের প্রতিকৃতি উৎকীর্ণ করান?
উঃ কুষাণ সম্রাট কনিষ্ক প্রথম মুদ্রায় বুদ্ধদেবের প্রতিকৃতি উৎকীর্ণ করান।
প্রঃ মুদ্রা বিম কফিসের ধর্ম ও সমুদ্রগুপ্তের গুণ সম্বন্ধে কী আলােকপাত
করেছে?
উঃ বিম কদফিসের মুদ্রায় ব্যবহৃত ‘মহীশ্বর’ নাম থেকে মনে করা হয় তিনি শৈব।
ছিলেন।
মুদ্রায় উল্কীর্ণ বীণাবাদনরত সমুদ্রগুপ্তের প্রতিকৃতি থেকে বােঝা যায় তিনি
সঙ্গীতজ্ঞ ছিলেন।
প্রঃ টলেমির কোন গ্রন্থ ভারত সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ করে? টলেমি বর্ণিত
ট্যামালিটিস (তমালাই) কোন স্থান?
উ টলেমির ‘জিওগ্রাফিকে হুফেগেসিস’ ৰা ভূগােল গ্রন্থ ভারত সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ
টলেমি বর্ণিত টামালিটিস হচ্ছে তাম্রলিপ্ত বন্দর।
ইতিহাস চয়ন
প্রঃ 'পেরিপ্লাস অব দি ইরিথ্রিয়ান সী’ কী? পেরিপ্লাস বর্ণিত পিথান ও পভুকে কোন।
কোন স্থান?
উঃ ‘পেরিপ্লাস অব দি ইরিথ্রিয়ান সী’ জনৈক অজ্ঞাত পরিচয় নাবিক কর্তৃক খ্রিস্টিয়
প্রথম শতকে রচিত একটি গ্রন্থ। এই গ্রন্থে তৎকালীন ভারতের বন্দর ও
ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে বিস্তৃত তথ্য লিপিবদ্ধ আছে।
পেরিপ্লাস বর্ণিত পিথান হচ্ছে পৈঠান ও পডুকে হচ্ছে আরিকামেডু বন্দর।।
প্রঃ রােমান পন্ডিত প্লিনির কোন গ্রন্থে ভারতের উল্লেখ আছে?
উঃ প্লিনির ন্যাচারাল হিস্ট্রি' গ্রন্থে ভারতের উল্লেখ আছে। এই বইটি ল্যাটিন ভাষায়
খ্রিষ্ট্রিয় প্রথম শতাব্দীতে রচিত হয়েছিল।
প্রঃ এ্যারিয়ন ও জাসটিন-এর কোন কোন গ্রন্থ থেকে আলেকজান্ডারের ভারত
আক্রমণ সম্পর্কে জানা যায় ?
উঃ এ্যারিয়ন-এর গ্রন্থ ‘আনাবাসিস অফ আলেকজান্ডার’ বা ‘আলেকজান্ডারের
অভিযান’ থেকে আলেকজান্ডারের ভারত আক্রমণ সম্পর্কে জানা যায়। এটি
খ্রিষ্ট্রিয় দ্বিতীয় শতাব্দীতে রচিত।
জাসটিন-এর ‘এপিটোম’ গ্রন্থ থেকে আলেকজান্ডারের ভারত অভিযানের বিবরণ
পাওয়া যায়।
প্রঃ আলেকজান্ডারের সঙ্গে যে-তিনজন বিবরণীকার ভারতে এসেছিলেন তাদের
নাম করাে।
উঃ আলেকজান্ডারের সঙ্গে যে-তিনজন বিবরণীকার ভারতে এসেছিলেন তাদের
নাম— নিয়ারকাস, এ্যারিসটোবুলিস এবং ওনেসিক্রিটাস।
প্রঃ ব্যাকট্রিয় গ্রিকদের ইতিহাস সম্পর্কিত একটি বিদেশি সাহিত্যের নাম করাে।
উঃ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতব্দীতে পলিবায়াস কর্তৃক রচিত ‘সাধারণ ইতিহাস থেকে
ব্যাকট্রিয় গ্রিকদের সম্পর্কে জানা যায়।
প্রঃ কোন সাহিত্য উপাদানে প্রাচীন ভারতীয় সমাজকে সাতটি গােষ্ঠীতে বিভক্ত
উঃ গ্রিক রাষ্ট্রদূত মেগাস্থিনিসের 'ইন্ডিকা' গ্রন্থে প্রাচীন ভারতীয় সমাজকে সাতটি
গােষ্ঠীতে বিভক্ত করা হয়েছে।
প্রঃ মেগাস্থিনিস বর্ণিত পালিবােথরাে কোন স্থান?
উ মেগাস্থিনিস বর্ণিত পালিবােথরাে হচ্ছে পাটলিপুত্র।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান
প্রঃ ইন্দো-রােম বাণিজ্যের উপর আলােকপাত করে এমন একটি প্রধান সাহিত্য
সূত্রের নামােল্লেখ করাে। কোন প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান রােমান ৰাণিজ্য সম্পর্কে
সর্বাপেক্ষা মূল্যবান ?
উঃ ইন্দো-রােম বাণিজ্যের উপর আলােকপাতকারী একটি প্রধান সাহিত্য উপাদান
খ্রিস্টিয় প্রথম শতকে রচিত ‘পেরিপ্লাস অব দি ইরিথ্রিয়ান সী’ বা ‘ভারত
মহাসাগরে ভ্রমণ। টলেমির ভূগােল (জিওগ্রাফিকে হুফেগেসিস) এবং প্লিনির
‘ন্যাচারাল হিস্ট্রি’ গ্রন্থও এই বিষয়ে যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।
ভারত-রােম বাণিজ্য সম্পর্কে সর্বাপেক্ষা মূল্যবান প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদান মুদ্রা।
প্রঃ চিনা পর্যটক ফা হিয়েন ও হিউয়েন সাং রচিত বিবরণীগ্রন্থ দুইটির নাম কী ?
উঃ ফা হিয়েন রচিত বিবরণীগ্রন্থের নাম ‘ফো-কোউ-কি'।
হিউয়েন সাং রচিত বিবরণীগ্রন্থের নাম ‘সি-ইউ-কি’ বা ‘পশ্চিমী দেশগুলির
প্রঃ চিনা পর্যটক ই-সিং (ইৎসিঙ) কোন সময়ে ভারতে এসেছিলেন?
উঃ ৬৭৩-৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে এসেছিলেন চিনা পর্যটক ই-সিং। বৌদ্ধ ধর্ম
সম্পর্কে লেখা তার গ্রন্থ ভারত ইতিহাসের উপাদান হিসাবে বিবেচিত হয়।
প্রঃ কোন তিব্বতী ঐতিহাসিকের রচনা ভারতের ইতিহাস রচনায় কাজে লাগে?
উঃ তিব্বতী ঐতিহাসিক তারানাথ কর্তৃক ১৬০৮ খ্রিস্টাব্দে সমাপ্ত বৌদ্ধধর্মের ইতিহাস
সম্পর্কিত ‘ভারতে বৌদ্ধধর্মের জন্ম’ নামক গ্রন্থটি ভারত ইতিহাস রচনায় কাজে
লাগে।
প্রঃ ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তারানাথ রচিত গ্রন্থের গুরুত্ব কী?
উঃ তারানাথ রচিত ‘ভারতের বৌদ্ধধর্মের জন্ম’ নামক গ্রন্থ অজাতশত্রুর সময় থেকে
মগধের ইতিহাস সম্পর্কে নানা তথ্য সরবরাহ করে। এছাড়া সাধারণভাবে
বৌদ্ধধর্মের জন্ম এবং বিশেষভাবে পাল রাজাদের জন্য এই গ্রন্থটি খুব
গুরুত্বপূর্ণ।
প্রঃ কোন চৈনিক উৎস থেকে শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যায়?
উঃ চিনা পর্যটক হিউয়েন সাং রচিত ‘সি-ইউ-কি’ গ্রন্থ থেকে শশাঙ্ক সম্পর্কিত তথ্য
পাওয়া যায়।
প্রঃ দুইটি সিংহলী বৌদ্ধ সাহিত্য উপাদানের নাম করাে।
উঃ দুইটি সিংহলী বৌদ্ধ সাহিত্য উপাদান হচ্ছে ‘দীপবংশ’ ও ‘মহাবংশ।
প্রঃ সিংহলী বৌদ্ধ সাহিত্য উপাদান মহাবংশের রচয়িতা কে?
উঃ সিংহলী বৌদ্ধ সাহিত্য উপাদান মহাবংশের রচয়িতা মহানাম (মতান্তরে তার।
সময়ে রচিত হয়েছিল)।
ইতিহাস চয়ন
প্রঃ আরবের কোন পর্যটক দেবপালের রাজ্যে এসেছিলেন? তার লেখা গ্রন্থের
উঃ দেবপালের রাজত্বের শেষ দিকে বাংলায় এসেছিলেন আরবের পর্যটক সুলেমান।
৮৫১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ভারত সম্পর্কিত একটি বিবরণী রচনা করেছিলেন।
সুলেমান লিখিত বিবরণী গ্রন্থের নাম 'সিলসিলতুৎ তওয়ারীখ'।
প্রঃ আরবের কোন পর্যটক প্রতিহার রাজ্যে এসেছিলেন এবং কখন? তার লেখা
গ্রন্থের নাম কী?
উঃ আরবের পর্যটক আল মাসুদি ৯১৫ খ্রিস্টাব্দে মহীপালের রাজত্বকালে প্রতিহার
রাজ্যে এসেছিলেন।
তার লেখা গ্রন্থের নাম ‘মুরুজ আ-ধহব ওয়া মাঅদিন অল-জওহর’ (সােনার
উপত্যকা ও রত্নের খনি)।
প্রঃ সিন্ধুদেশে আরব শাসনের উপর আলােকপাত করে এমন একটি সাহিত্য
উপাদানের নাম করাে। এই গ্রন্থটি কে ফারসি ভাষাতে অনুবাদ করেন?
উ আরবি ভাষায় রচিত ‘চাচনামা’ সিন্ধুদেশে আরব শাসনের উপর আলােকপাত
করার প্রধান সাহিত্য উপাদান।
‘চাচনামা’র ফারসি অনুবাদ করেন আলি বিন হামিদ বিন আবু বকর অল কুফি।
প্রঃ তহকিক-ই-হিন্দ’ (কিতাৰ অল হিন্দ’) কার রচনা?
উ তহকিক-ই-হিন্দ’ গ্রন্থের রচয়িতা বিখ্যাত পন্ডিত আলবেরুণী।
প্রঃ আলবেরুণী কে?
উঃ আলবেরুণী (৯৭০–১০৪৮ খ্রিস্টাব্দ) ছিলেন মধ্য এশিয়ার অন্যতম শ্রেষ্ঠ
গণিতবিদ, দার্শনিক, কবি ও পন্ডিত। মহম্মদ ঘুরির সভাসদ হিসাবে ভারতে এসে
তিনি অধ্যয়ন করেছিলেন সংস্কৃত ভাষা, হিন্দুধর্ম ও দর্শন। ভগবদগীতা সহ
একাধিক গ্রন্থ তিনি ফারসি ভাষাতে অনুবাদ করেছিলেন। এছাড়া ভারত সম্বন্ধে
তিনি রচনা করেছিলেন তহকিক-ই-হিন্দ’ (কিতাব অল হিন্দ’) গ্রন্থ। সমসাময়িক
ভারতের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক এবং ধর্ম ও বিজ্ঞান সম্বন্ধে এই গ্রন্থ
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে।
প্রঃ সিন্ধুদেশে আরব শাসনের উপর আলােকপাত করে এমন একটি সাহিত্য
উপাদানের নাম করাে।
উ আরবি ভাষায় রচিত ‘চাচনামা’ সিন্ধুদেশে আরব শাসনের উপর আলােকপাত
করার প্রধান সাহিত্য উপাদান।
প্রঃ ভারতের প্রাচীনতম সাহিত্য উপাদান কী?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০-১০০০ অব্দের মধ্যে রচিত ঋগবেদ ভারতের প্রাচীনতম
সাহিত্য উপাদান।

প্রঃ পুরাণের সংখ্যা কত? ভারতের ইতিহাস রচনায় পুরাণের গুরুত্ব কী?
ঐতিহাসিক মূল্য আছে এমন পাঁচটি পুরাণের নাম করাে।
পুরাণগুলি থেকে প্রাচীন ভারতের নানা রাজবংশের বংশতালিল সম্পর্কে তথ্য
ঐতিহাসিক মূল্য আছে এমন পাঁচটি পুরাণ বায়ু, মৎস্য, বিষ্ণু, ভাগবত ও
ভবিষ্য পুরাণ।
প্রঃ কোন জৈন সাহিত্য থেকে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর ভারতের রাজনৈতিক চিত্র
পাওয়া যায়? কোন জৈন সাহিত্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে?
উ জৈন ভাগবতী সূত্র’ নামক জৈন সাহিত্য থেকে খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর ভারতের
রাজনৈতিক চিত্র পাওয়া যায়।
হেমচন্দ্র রচিত “জৈন পরিশিষ্ট পার্বণ’ গ্রস্থ চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ
প্রঃ প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় জাতকের ভূমিকা কী?
উ খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম থেকে দ্বিতীয় শতাব্দীর মধ্যবর্তী সময়ের ইতিহাসের উপাদান
হিসাবে জাতকের সাক্ষ্য গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ের সামাজিক ও অর্থনৈতিক
পরিস্থিতি সম্পর্কে মূল্যবান তথ্য সরবরাহ করে জাতক।
প্রঃ বুদ্ধচরিত’ গ্রন্থের রচনাকার কে?
উঃ বুদ্ধচরিত গ্রন্থের রচনাকার কুষাণ যুগের বৌদ্ধ পন্ডিত অশ্বঘােষ।
প্রঃ চৰিত সাহিত্য কাকে বলে?
উ প্রাচীন ভারতে বিভিন্ন রাজাদের সভাকবিরা তাদের পৃষ্ঠপােষক রাজাদের
কতি-কাহিনি সহ যে-জীবনীগুলি রচনা করেছেন সেগুলিকে চরিত সাহিত্য কলা
প্রঃ প্রাচীন ভারতের চরিত সাহিত্যের বিষয়বস্তু কী ছিল?
উঃ প্রতিটি চরিত সাহিত্যে কোনো এক বিশেষ রাজার গৌরব কহিনি বর্ণিত হয়েছে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে চরিত সাহিত্যগুলি শাসকদের অকারণ গৌরদান করেছে।
অংহে চরিত সাহিত্যের মধ্যে বাজার প্রতি চরিত লেখকের পক্ষপাতিত্ব প্রকাশ

প্রঃ 'হর্ষচরিত’ কে লিখেছো?
- Harshavardhan




প্রঃ 'বিক্রমাঙ্কদেবচরিত’-এর রচয়িতা কে? এই গ্রন্থটি কোন শাসক সম্পর্কিত?
উঃ ‘বিক্রমাঙ্কদেবচরিত’-এর রচয়িতা তার সভাকবি বিলহন।
এই গ্রন্থটি কল্যাণের চালুক্যরাজ ষষ্ঠ বিক্রমাদিত্য ত্রিভুবনমল্ল সম্পর্কিত।
প্রঃ কনৌজরাজ যশােবর্মনের গৌড় বিজয় সম্পর্কিত সাহিত্য উপাদানের নাম ?
এর লেখক কে? এই গ্রন্থটি কোন ভাষায় রচিত?
উঃ যশাের্মনের গৌড় বিজয় সম্পর্কে প্রধান সাহিত্য উপাদান ‘গৌড়বহাে’ কাব্য।
‘গৌড়বহাে’ কাব্যের লেখক বাকপতিরাজ।
‘গৌড়বহাে’ কাব্য মারাঠী-প্রাকৃত ভাষায় রচিত।
প্রঃ নবশশাঙ্কচরিত' গ্রন্থটি কার লেখা? এই গ্রন্থ থেকে কোন শাসক সম্পর্কে
জানা যায়?
উঃ ‘নবশশাঙ্ক’ বা ‘নবাহসাঙ্কচরিত’গ্রন্থের লেখক পদ্মগুপ্ত (১০০০ খ্রিস্টাব্দ)।
এই গ্রন্থ থেকে পারমাররাজ মুঞ্জের (নবশশাঙ্ক বা নবসাহসাঙ্ক) সম্পর্কে জানা
যায়।
প্রঃ রামচরিত’ কার লেখা? এই গ্রন্থে কোন শাসকের মহিমাকীর্তন করা হয়েছে?
উঃ রামচরিত’ গ্রন্থের লেখক সন্ধ্যাকর নন্দী।
‘রামচরিত গ্রন্থে বাংলার রাজা রামপালের মহিমা কীর্তন করা হয়েছে।
প্রঃ কুমারপালচরিত' কার লেখা? এই গ্রন্থ কোন শাসককে নিয়ে লেখা?
উঃ কুমারপালচরিত’ গ্রন্থের লেখক জৈন আচার্য জয়সিংহ।
এই গ্রন্থ দ্বাদশ শতকের গুজরাটের চালুক্য বংশীয় রাজা কুমারপালকে নিয়ে
প্রঃ কালিদাসের ‘মালবিকাগ্নিমিত্র’ নাটক থেকে কোন শাসক সম্বন্ধে জানা যায় ?
উঃ কালিদাসের ‘মালবিকাগ্নিমিত্র’ নাটক থেকে শুঙ্গ রাজা অগ্নিমিত্র সম্পর্কে জানা
প্রঃ বিশাখদত্তের ‘মুদ্রারাক্ষস’ ও ‘দেবী চন্দ্রগুপ্তম’ নাটক কোন কোন শাসক
সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে?
উঃ বিশাখদত্তের মুদ্রারাক্ষস’ নাটকটি চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
‘দেবী চন্দ্রগুপ্তম নাটক থেকে সমুদ্রগুপ্ত ও দ্বিতীয় চন্দ্রগুপ্তের মধ্যবর্তী সময়ে
শাসক রামগুপ্ত সম্পর্কে জানা যায়।
প্রঃ 'অর্থশাস্ত্র’-এর রচয়িতা কে? তিনি কোন শাসকের সময়ের মানুষ?
উ সাধারণ বিশ্বাস অনুসারে 'অর্থশাস্ত্র’-এর রচয়িতা চাণক্য বা কেটল্য।
কৌটিল্য চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের সময়ের মানুষ।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান
প্রঃ ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে 'মহাভাষ্য' গ্রন্থের ভূমিকা কী?
উঃ খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে লেখা 'মহাভাষ্য গ্রন্থটি শুঙ্গ রাজত্ব ও ব্যাকট্রিয় গ্রিকদের
ভারত আক্রমণ সম্পর্কে তথ্য সরবরাহ করে।
প্রঃ বল্লালচরিত’ গ্রন্থের লেখক কে? এই গ্রন্থটি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
উঃ বল্লালচরিত' গ্রন্থের লেখক আনন্দভট্ট।
নবদ্বীপের শাসক বুদ্ধিমন্ত খানের আদেশে ১৫১০ খ্রিস্টাব্দে রচিত এই গ্রন্থ থেকে
বল্লালসেনের সমাজ সংস্কারের কথা জানা যায়।
প্রঃ পারমার রাজা ভােজের জীবন চরিত্রের নাম কী?
উঃ বল্লাল রচিত রাজা ভােজের জীবন চরিত্রের নাম ‘ভােজপ্রবন্ধ।
প্রঃ গুজরাটের ইতিহাসের সঙ্গে সম্পর্কিত চারটি সাহিত্য উপাদানের নাম করাে।
উঃ রাজশেখর রচিত প্রবন্ধকোষ’, মেরুতুঙ্গ রচিত প্রবন্ধ-চিন্তামণি’, বালচন্দ্র রচিত
‘বসন্তবিলাস' এবং সােমেশ্বর রচিত “রাজমালা’ ও ‘মানসােল্লাস’ গুজরাটের
রাজবংশগুলি সম্বন্ধে তথ্য সরবরাহ করে।
প্রঃ প্রথম ভারতীয় ইতিহাস গ্রন্থ কোনটি?
উ প্রথম ভারতীয় ইতিহাস গ্রন্থ ১১৪৯-১১৫০ খ্রিস্টাব্দ লিখিত কলহনের
‘রাজতরঙ্গিনী’! সরকারী নথিপত্র, লেখ, সনদ প্রভৃতির আলােকে কলহন এই
গ্রন্থে কাশ্মীরে ধারাবাহিক ইতিহাস লেখার প্রয়াস করেছিলেন। তবে সপ্তম
শতাব্দীর পূর্বেকার সময় সম্বন্ধে আলােচনা দুর্বল।
প্রঃ তামিল সাহিত্যের দুইটি মহাকাব্যের নাম লেখ।
উঃ তামিল সাহিত্যের সর্বাধিক স্বীকৃত মহাকাব্য দুইটির নাম ‘
শিলপ্লদিকারম’ ও
“মণিমেকলই'। খ্রিষ্ট্রিয় প্রথম-দ্বিতীয় শতাব্দীর তামিল ইতিহাসের উপাদান
পাওয়া যায় এই দুই মহাকাব্য থেকে।
প্রঃ মণিমেকলই’ ও ‘শিলপ্পদিকারম’ গ্রন্থের রচনাকারদের নাম লেখ।
উ মণিমেকলই রচনা করেন মাদুরার এক তামিল শস্য ব্যবসায়ী সাত্তানার (সম্ভবত
পঞ্চম শতাব্দীতে রচিত)।
শিল্পদিকারম’ রচনা করেন ইলেঙ্গো অদিগল।
প্রঃ কোভলন ও কাগী কে?
উঃ শিলাদিকারম কাব্যের নায়ক কোলন এবং নায়িল কান্নগী।
অন্যদিকে মণিমেলাই কাব্যের নায়কও কোলন।
প্রঃ কথাসরিৎসাগর’ কে রচনা করেন?
উঃ একাদশ শতাব্দীতে কথাসরিৎসাগর’ রচনা করেন সােমদেব।

প্রঃ কে লিখেছিলেন ‘হম্মীরকাব্য’?
মেবারের চৌহানরাজ হামীরদেব সম্পর্কে ‘হম্মীরকাব্য’ লিখেছিলেন জৈন কৰি
নয়চন্দ্র বা নয়নচন্দ্র সূরি।
প্রঃ পৃথ্বীরাজরসাে’ কী?
উঃ চারণকবি চাদ বরদাই রচিত এক দীর্ঘকাব্য ‘পৃথ্বীরাজরসাে'। এই কাব্যে
চৌহানরাজ পৃথ্বীরাজ ও কনৌজ রাজকন্যা সংযুক্তার প্রণয় ও বিবাহ কাহিনি
বর্ণিত আছে।
প্রঃ চাঁদ বরদাই কার সভাকবি ছিলেন?
উঃ চৌহানরাজ তৃতীয় পৃথ্বীরাজের সভাকবি ছিলেন চাদ বরদাই।
প্রঃ পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নায়ক করে রচিত দুইটি সাহিত্য উপাদানের উল্লেখ
করে।
উঃ পৃথ্বীরাজ চৌহানকে নায়ক করে রচিত হয়েছিল চাদ বরদাই-এর ‘পৃথ্বীরাজরসাে’
বা পৃথ্বীরাজচরিত’ এবং অজ্ঞাতনামা লেখকের ‘পৃথ্বীরাজবিজয়’ কাব্য।






West Bengal job vacancy 2021
Job vacancy in West Bengal 
West Bengal job 
West Bengal government job
Graduate pass job in West Bengal
West Bengal Recruitment 2021
WB govt job 
Job in kolkata

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Ads Area