4-year UG Admission in WB Colleges: ৪ বছরের অনার্স কোর্সে কীভাবে ভরতি? কত নম্বর চাই? CU-র টালবাহানায় ধন্দে কলেজগুলি
এবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়া চলবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শেষলগ্নে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। তার ফলে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য নিজেদের অ্য়াডমিশন পোর্টাল তৈরির জন্য এমনিতেই কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে সময় কম আছে।
হাতে মেরেকেটে তিন সপ্তাহ পড়ে আছে। কিন্তু স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও অন্ধকারে পড়ে আছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ কলেজগুলি। কোন বিষয়ে কত কাট-অফ নম্বর হবে, সাবজেক্ট কম্বিনেশন কী হবে, কী প্রক্রিয়ায় ভরতি হবে, তা নিয়ে কলেজগুলির কাছে কোনও স্পষ্ট ধারণা নেই। কারণ চার বছরের স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়া নিয়ে এখনও কোনও নির্দেশিকা জারি করেনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। সেই পরিস্থিতিতে কলেজগুলি অ্যাডমিশন পোর্টালের কাজও শেষ করতে পারছে না।
এবার কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়া চলবে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। শেষলগ্নে সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। তার ফলে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য নিজেদের অ্য়াডমিশন পোর্টাল তৈরির জন্য এমনিতেই কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে সময় কম আছে। আর সেই পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের টালবাহানার জেরে। যেখানে আগামী ১ জুলাই থেকে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি এবং সরকার-পোষিত কলেজগুলিতে স্নাতক স্তরে ভরতির জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হবে, সেখানে এখনও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা হয়নি।
সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, অন্যবার ভরতি সংক্রান্ত নির্দেশিকা দেরিতে জারি করা হলেও কলেজগুলির কাছে একটি ধারণা থাকত যে কীভাবে অ্যাডমিশন প্রক্রিয়া চলবে (তিন বছরের স্নাতক কোর্স ছিল)। কিন্তু এবার পশ্চিমবঙ্গে চার বছরের স্নাতক কোর্স শুরু হওয়ার ফলে পুরো বিষয়টি পালটে যাবে। নয়া পদ্ধতিতে কী কী সাবজেক্ট কম্বিনেশন থাকবে, কাট-অফ মার্কস কত হবে, তা নিয়ে কলেজগুলির কাছে কোনও স্বচ্ছ ধারণা নেই। সেই বিষয়গুলি জানতে না পারলে অ্যাডমিশন পোর্টালের কাজও শেষ করতে পারছে না কলে জগুলি। পুরো বিষয়টি নিয়ে তৈরি হয়েছে জটিলতা।
যদিও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, স্নাতক স্তরে ভরতি প্রক্রিয়ার জন্য জোরকদমে নির্দেশিকা তৈরির কাজ করা হচ্ছে। এবার চার বছরের অনার্স কোর্স শুরু হলেও কাঠামোগতভাবে ভরতি প্রক্রিয়ায় খুব একটা হেরফের হচ্ছে না। আগে যেমন কলেজ কর্তৃপক্ষ নিজেদের কাট-অফ মার্কস নির্ধারণ করতে পারত, এবারও সেটা করা যাবে। সেইসঙ্গে ভরতি প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে কলেজ কর্তৃপক্ষও নিজেরা বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে বলে সূত্রে খবর।
সেই আশ্বাসবাণীতেও অবশ্য খুব একটা চিন্তা কাটছে না কলেজগুলির। সূত্রের খবর, কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে কোনও নির্দেশিকা জারি করা না হলেও নিজেদের মতো করে হিসাব করে কয়েকটি কলেজ ইতিমধ্যে অ্যাডমিশন পোর্টালের কাজ শুরু করে দিয়েছে। হাতে সময় একেবারে কম থাকায় সেভাবেই কাজ এগিয়ে রাখা হচ্ছে। যাতে যাবতীয় সম্পূর্ণ করে ১ জুলাই থেকে অ্যাডমিশন পোর্টাল সক্রিয় করে তোলা যায়।
0 মন্তব্যসমূহ